1. Adobe Photoshop.
2. Adobe Illustrator.
3. After Effects.
4. Adobe In Design.
5. Adobe Flash.
6. Corel paint shop photo pro X3.
7. Corel Draw Graphics Suite X5.

দ্বিতীয় ধাপঃ আপনার যদি কম্পিউটার সম্পর্কে ব্যাসিক ধারনা থাকে তাহলে কিছু কিছু বিষয় আপনার জানা হয়ে যাবে ৷ আর যদি কম্পিউটারের ব্যাসিক ধারনা না থাকে তাহলে আপনাকে শুরুতেই কম্পিউটারের ব্যাসিক ধারনা নিতে হবে ৷ যেমন –

• ইচ্ছেমত ছবি বড়-ছোট করা জানতে হবে ৷
• ছবির কালার পরিবর্তন করা জানতে হবে ৷
• ভিন্ন ভিন্ন ফরমেটে বিভিন্ন কাজের ছবি সংরক্ষণ করে রাখা জানতে হবে ৷
• ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা জানতে হবে ৷
• ছবিকে ক্রপ করা, আউটলাইন করা জানতে হবে ৷
• কপি , পেস্ট করা জানতে হবে ৷
• ছবি ড্র্যাগ ও ড্রপ করা জানতে হবে ৷
• ডুপলিকেট কপি করা জানতে হবে ৷
• ছবিকে বিভিন্ন অ্যাংগেলে রোটেট করা জানতে হবে ৷
• মুভ ( Move ) করা জানতে হবে ৷
• নতুন লেয়ার তৈরি করা জানতে হবে ৷ লেয়ারের বিভিন্ন ইফেক্ট সম্পর্কে জানতে হবে ৷
• প্রয়োজনীয় কালার সিলেক্ট করা ও ব্যবহার করা জানতে হবে ৷
• ছবিকে সাদা-কালো কিংবা নেগেটিভ করা জানতে হবে ৷
• ছবিকে ব্লার করা জানতে হবে ৷
• বর্ডার তৈরি কিংবা স্কেলের ব্যবহার জানতে হবে ৷
• ফরগ্রাউন্ড ও ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জানতে হবে ৷
• লোগো ও আইকন তৈরি করা জানতে হবে ৷
• লেখার সাইজ কমানো – বাড়ানো জানতে হবে ৷
• লেখাকে বোল্ড বা ইটালিক ইত্যাদি করা জানতে হবে ৷

তৃতীয় ধাপঃ নিজের পরিচিত কিংবা কাছের মানুষদের কিছু কিছু কাজ ফ্রি-তে করে দিতে পারেন ৷ এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে ৷ আপনার কাজের প্রচার ও প্রসার হবে ৷ কারন, ডিজাইন শেখার শুরুর দিকে কোন প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ আপনাকে কাজ দিবেননা ৷ আর আপনি কাজ না করলে অভিজ্ঞও হতে পারবেননা ৷ তাই শুরুর দিকে ফ্রি-তে অন্যের কাজগুলো করে দিন ৷

চতুর্থ ধাপঃ দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপ পার করে আসার পর আপনি মোটামুটি কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন ৷ এবার আপনাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে ৷ এখানে হার-জিত দু’টোই থাকবে ৷ তবে হেরে যাওয়া সহজ ৷ কারন, এখানে প্রতিযোগী অনেক বেশি ৷

এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত ডিজাইনাররা অংশগ্রহণ করে থাকেন ৷ তাই জয়লাভ করাটা অনেক কঠিন ব্যপার ৷ তবুও আপনাকে কনটেস্টগুলোতে জয়েন করতে হবে ৷ কারন, প্রতিযোগীতার বাজার দেখলে নিজেকে আরো দক্ষ করে তোলার ইচ্ছে শক্তি বেড়ে যাবে ৷ সেই সাথে নিজের দক্ষতাকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন ৷

পঞ্চম ধাপঃ এরপর আপনার ডিজাইনগুলোর জন্য একটা পোর্টফোলিও ( portfolio) সাইট একাউন্ট তৈরি করতে হবে ৷ সেখানে আপনার ডিজাইনগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে হবে ৷ যাতে আপনার কাজগুলো আপনার ক্লাইন্টদেরকে দেখাতে পারেন ৷ আপনি চাইলে Behance.net এ আপনার পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টটি তৈরি করে নিতে পারেন ৷ এছাড়াও আপনার পার্সোনাল ব্লগের মাধ্যমেও আপনার কাজগুলোকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেন ৷

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কি লাভ ??

আমরা সব সময় ই যেই কোন কাজের ক্ষেত্রেই লাভ – ক্ষতির হিসেব করে থাকি ৷ তারপর কাজগুলো করার চেষ্টা করি ৷ গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রেও অনেকের মাঝে লাভ-ক্ষতির বিষয়টা চলে আসে ৷

প্রথমেই বলে রাখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো অনলাইন জগতে বিশাল একটি সম্ভাবনাময় ভান্ডার ৷ প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বেড়েই চলেছে ৷ মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে ৷ তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে ৷ শুধু অনলাইন নয় অফলাইনেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক অনেক গুন বেশি ৷

আপনি যদি একটু খেয়াল করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো কতটা ব্যবহৃত হচ্ছে ! আপনার আশে পাশে দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, লোগো, বিয়ের কার্ড, ক্যাশ মেমো, হালখাতা, ভাউচার ইত্যাদি ৷ এই সবকিছুই তৈরি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ৷

তাই আপনি চাইলে এই সকল কাজগুলো অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে করে মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন ৷