চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশন !

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশন !
Spread the love

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশন !

চাঁদপুরের দর্শনীয় একটি স্থান হচ্ছে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড ৷ এটি চাঁদপুর জেলার অন্যতম প্রধান একটি দর্শনীয় স্থান ৷ এখানে রয়েছে তিন নদীর মোহনা ৷ আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ৷ যা দর্শানার্থীদের আকর্ষণ করে এক নিমিশেই ৷

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশনঃ

প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক নিদর্শন। যার মাঝে অন্যতম চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার মনোরম দৃশ্য। মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীর মধ্যে অন্যতম। এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ডাকাতিয়া, পাশে রয়েছে পদ্মা।

এমন মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সকাল-বিকেল লোকসমাগম ঘটে সেখানে ৷ সকালের চেয়ে বিকেলের সময়টায় ভিড় থাকে বেশি ৷ সেখানে ভোর বেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন ৷ এর মধ্যে স্থানীয় দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি ৷ তবে দূর দূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা ঘুরতে চলে আসেন চাঁদপুর বড় স্টেশন ৷

নদীর পাড় ঘেঁসে তৈরি করা হয়েছে বসার জায়গা ৷ সেখানে বসে দেখা যায় পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনমেলা ৷ আর উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত ৷ সেই সাথে দেখা যায় জেলেদের মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য আর নৌযান চলাচলের দৃশ্য ৷

বড় স্টেশনের পাশেই রয়েছে রুপালি ইলিশের বিশাল আড়ৎ ৷ চাইলে সেই আড়ৎটিও ঘুরে দেখতে পারেন ৷ আর যাওয়ার সময় নিয়ে যেতে পারেন চাঁদপুরের তাজা রুপালি ইলিশ মাছ ৷ বড় স্টেশনের এক পাশে রয়েছে স্টিমারঘাট , অন্য পাশে লঞ্চঘাট আর মাঝখানে রয়েছে রেলস্টেশন ৷

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশন !
রক্তধারা ভাস্কর্য

এখানে রয়েছে বেশ কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য ৷ চাঁদপুর শহরে প্রবেশের মুখেই রয়েছে রুপালি ইলিশের ভাস্কর্য ৷ যেহেতু চাঁদপুর জেলা রুপালি ইলিশের জন্য প্রসিদ্ধ তাই চাঁদপুর জেলাকে বলা হয় ‘ ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ‘ ৷ তাই শহরের আইকন হিসেবে স্থাপন করা হয় ‘ইলিশের ভাস্কর্য’ ৷ যাতে এক দেখায় বলা যায় ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর জেলা ৷

চাঁদপুরের মেঘনা, ডাকাতিয়া, আর পদ্মাকে ঘিরে রয়েছে শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকা। এর পাশেই আছে রক্তধারা ভাস্কর্য ৷ যেখানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার কতৃক পরিচালিত টর্চার সেলে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ৷ সেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উক্ত ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয় ৷

চাঁদপুর বড় স্টেশন যাবেন যেভাবেঃ

আপনি যেকোন স্থান থেকে চাঁদপুরে চলে আসতে পারেন বড় স্টেশন বা তিন নদীর মহোনায় ৷ ঢাকা থেকে লঞ্চে করে চলে আসতে পারেন চাঁদপুর লঞ্চঘাট ৷ তারপর লঞ্চঘাট থেকে অটো রিক্সায় করে চলে আসবেন চাঁদপুর বড় স্টেশন ৷ এটি হলো চাঁদপুরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ৷ তবে উক্ত স্থানে যাওয়ার সবচেয়ে সঠিক সময় হচ্ছে বিকেল বেলা ৷

এ ছাড়া যারা কুমিল্লা ও শাহরাস্তি থেকে আসতে চান তারা কুমিল্লা ও দোয়াভাঙ্গা থেকে বোগদাদ বাসে করে চাঁদপুর বাস স্টেশন পর্যন্ত চলে আসবেন ৷ তারপর বাস স্টেশন থেকে অটো রিক্সা কিংবা সিএনজির মাধ্যমে চলে আসবেন চাঁদপুর বড় স্টেশন ৷

রামগঞ্জ – লক্ষীপুর থেকে যারা আসতে চান তারা হাজীগঞ্জ – রামগঞ্জ সড়কের আল- আরাফাহ বাসের মাধ্যমে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত চলে আসবেন ৷ তারপর হাজীগঞ্জ থেকে বোগদাদ বাসের মাধ্যমে চলে যাবেন চাঁদপুর বাস স্টেশন ৷ সেখান থেকে অটো রিক্সা কিংবা সিএনজি করে সরাসরি চলে যেতে পারবেন চাঁদপুর বড় স্টেশন ৷ আর যারা বাসে করে যেতে চাননা তারা হাজীগঞ্জ থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে চলে যেতে পারেন বড় স্টেশন ৷

আর যারা শরীয়তপুর থেকে আসতে চান তারা খুব সহজেই টলারে করে চলে আসতে পারেন চাঁদপুর মোহনায় ৷

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান চাঁদপুর বড় স্টেশন !
চাঁদপুর বড় স্টেশন

চাঁদপুর বড় স্টেশনে যেভাবে ঘুরতে পারবেনঃ

আপনি চাইলে ট্রলারে করে ঘুরে দেখতে পারেন নদীর চারপাশ ৷ এখানে আপনি রিজার্ভ ও লোকাল দুই ধরনের ই ট্রলার পাবেন ৷ পুরো ট্রলার রিজার্ভ নিলে ভাড়া দিতে হবে প্রায় ৪০০ টাকার মত ( কম – বেশি হতে পারে ) ৷ আর লোকালে গেলে যাওয়া আসায় খরচ হতে পারে জনপ্রতি ৫০ – ১০০ টাকা ( কম – বেশি হতে পারে ) ৷ এছাড়াও রয়েছে স্প্রিডবোর্ট ও নৌকা ৷

চাঁদপুরে এসে থাকবেন কোথায়ঃ

চাঁদপুরে ঘুরতে এসে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান কোথায় থাকবেন ! অথচ চাঁদপুর শহরে রয়েছে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো হোটেল ৷ তার মধ্যে সদর হসপিটালের সামনে “হোটেল গ্র্যান্ড হিলশা” অন্যতম ৷ এ ছাড়াও চাঁদপুর কোর্টের সামনে স্টেশনের কাছে মোটামুটি ভালো মানের কিছু হোটেল পাবেন ৷ আর চৌধুরী ঘাট বা নতুন ব্রিজের কাছে নদীর পাড়েও পাবেন মধ্যম মানের বেশ কিছু হোটেল ৷

খাবেন কোথায়ঃ

খাওয়ার জন্য চাঁদপুর শহরে রয়েছে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ৷ আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন ৷ সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার খেতে চাইলে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের ডান পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ খেতে পারেন ৷ আর মিষ্টির জন্য ফরিদগঞ্জের আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি খেতে পারেন ৷

আইসক্রিমের জন্য ওয়ান মিনিট আইসক্রিমের স্বাদ নিতে পারেন ৷ সেই সাথে তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে বড় স্টেশনের ঝুপড়ি হোটেল অথবা লঞ্চ ঘাটের হোটেলগুলোতে খেতে পারেন ৷

Avatar
Jannatun Naime
This is Jannatun Naime. I live in Dhaka, Bangladesh area. My hometown is Chandpur District. I am an Entrepreneur ,Teacher, Blogger and Media Activist. Also a freelancer. These are Graphics Design, Digital Marketing, Video Editing, Content Writing, Content Creator, SEO expert etc with 5 years of experience in the field. I always ‍like to read and write any subject. This website is my personal website. I am a woman who always loves to learn new things and spread it through writing. That’s why I started this blog. The main focus of my writing is to know and write about my country, my district, travel story, freelancing, information and communication technology, science, e-commerce, weaving and crafts, entrepreneurs story, our lifestyle, our cuisine etc. https://jannatunnaime.com
https://jannatunnaime.com/

Leave a Reply

Top

You cannot copy content of this page