ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এর ধাপগুলো কি কি? ডিজিটাল মার্কেটিং by Jannatun Naime - September 11, 2021January 29, 20220 Spread the love ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এর ধাপগুলো কি কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? এর ধাপগুলো কি কি? এই প্রশ্নটি এখন সবার মাঝে ৷ তাই শুরুতেই আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং মূলতঃ কি ! তারপর একে একে জানতে পারবো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সকল ধাপ বা পর্যায়গুলো সম্পর্কে ৷ বর্তমান যুগ ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ ৷ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ ৷ যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষও দিন দিন ডিজিটাল হচ্ছে ৷ সেই সাথে বেড়েছে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও পড়াশুনা ৷ বর্তমান সময়ে দেখতে পাবেন স্কুল- কলেজ-ভার্সিটির পড়াশুনাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে হচ্ছে ৷ এর প্রধান কারণ হলো ডিজিটালাইজেশন ৷ অর্থাৎ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ৷ তাইতো বর্তমান সময়ে মানুষ অধিক পরিমানে ডিজিটালাইজেশনে বা প্রযুক্তিতে ঝুঁকছেন ৷ অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস করছেন, সেবা দিচ্ছেন, পড়াশুনা করছেন, বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করছেন, বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষনও নিচ্ছেন ৷ যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে ৷ ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং হলো প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ৷ অর্থাৎ অনলাইনভিত্তিক কোন পন্য বা পন্য সেবার বিজ্ঞাপন ৷ সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিংবা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটি মাইজেশনের মাধ্যমে ৷ এ ছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমেও মার্কেটিং করা যায় ৷ আবার ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমেও মার্কেটিং করা যায় ৷ যেমনঃ টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় ৷ এছাড়াও বিলবোর্ড, মোবাইল অ্যাপলিকেশন ও ইনস্ট্যান্ট মোবাইল মেসেজের মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় ৷ মার্কেটিং করা যায় ৷ এই সময়ে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন তাহলে আপনার বর্তমান অবস্থানে এবং ভবিষ্যতে অনেক বেশি কাজে দিবে ৷ আপনার বিজনেস থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে দিবে ৷ কথায় বলে প্রচারেই প্রসার ৷ আপনি যত বেশি প্রচার করবেন তত বেশি প্রসারিত হবে ৷ কারন, মার্কেটিংয়ের সকল বিষয়ও প্রতিটি ক্ষেত্রে জরুরি ৷ সেটা হোক ব্যবসা কিংবা উদ্যোগ ৷ অথবা ব্যক্তি প্রচারণা কিংবা শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ৷ সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং খুব ই গুরুত্বপূর্ন ৷ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধাপসমূহঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ধাপ বা পর্যায় রয়েছে ৷ যেগুলো প্রয়োগ করে মার্কেটিং না করা হলে বেশি দূর এগোনো যাবেনা ৷ তাইতো ডিজিটাল মার্কেটাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন ৷ নিচে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধাপসমূহ উল্লেখ করা হল- কনটেন্ট মার্কেটিং ৷ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ৷ এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ৷ এফিলিয়েট মার্কেটিং ৷ এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ৷ ই-মেইল মার্কেটিং ৷ সিপিএ মার্কেটিং ৷ ই- কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং ৷ ছবিঃ ডিজিটাল মার্কেটিং ১. কনটেন্ট মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি ধাপ হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং ৷ সেটা হতে পারে লিখিত বা মুদ্রিত কনটেন্ট ৷ আবার হতে পারে ভিডিও কনটেন্ট ৷ লিখিত কনটেন্ট আর ভিডিও কনটেন্টকে বলা হয় ব্লগ ৷ মূলতঃ কনটেন্ট হলো কোন একটি বিষয় বা বস্তুুর উপর ব্লগ, ভিডিও বা ছবির উপর বিষয়বস্তু বর্ণনা করা এবং তা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা ৷ এ ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য বা সেবাকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তুলে ধরাও হলো কনটেন্ট মার্কেটিং ৷ ২. এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ এসইও হলো কোন ওয়েবসাইট গুগল, ইয়াহু, বিং বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধানমূলক ফলাফলগুলো পর্যালোচনা করে থাকে ৷ বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রতিযোগীতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে ৷ এসইউর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যকে গুগল সার্চে বা সার্চ ইঞ্জিনের টপে নিয়ে আসতে পারবেন ৷ অর্থাৎ সার্চের প্রথম পেইজের সবচেয়ে উপরে নিয়ে আসতে পারবেন ৷ যার ফলে আপনার পন্যের বিক্রি বেড়ে যাবে৷ ৩. এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ এসই বা সার্চ ইঞ্জিন হলো, যেখানে কোন মানুষ কোন কিছু জানার জন্য, খোঁজার জন্য, শেখার জন্য, বোঝার জন্য, সেবা নেওয়ার জন্য, কেনার জন্য যে কোন কিছু লিখে সার্চ করে ৷ আর মার্কেটিং হলো বিজ্ঞাপন ৷ তাই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে ৷ যাতে আপনার ওয়েবসাইটকে টপ লিস্টে আনতে পারেন ৷ শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন ই পারে যেকোন ব্র্যান্ড কে অনলাইনের মাধ্যমে উন্নতির সর্বোচ্চ জায়গায় পৌছে দিতে ৷ এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটকে অন্য ওয়েবসাইট প্রতিযোগীদেরকে পেছনে ফেলে টপ রেঙ্কে নিয়ে যেতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ৷ ৪. এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কারো পন্য বা সেবাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক প্রমোট করা ৷ অর্থাৎ আপনি যখন আপনার ডিজিটাল স্কিলকে কাজে লাগিয়ে কমিশন নিয়ে অন্যের পন্যকে প্রমোট করবেন তখন সেটা হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং ৷ তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজ বিষয় নয় ৷ এখানে আপনি চাইলে রাতারাতি খুব বেশি কিছু করে ফেলতে পারবেননা ৷ তার জন্য সময় ও ধৈর্য্যেরও প্রয়োজন আছে ৷ অর্থাৎ আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হবে ৷ ৫. এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো সোশ্যাল সাইটগুলোতে যে কোন পন্য বা পন্য সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া ৷ যেমনঃ ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংকদীন, পিন্টারেস্ট, ইউটিউভ, ইত্যাদি ৷ সাধারনভাবে বলা যায় ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল সাইটগুলোতে যদি কোন পন্য প্রমোট করি তাহলে তা হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ৷ ৬. ই- মেইল মার্কেটিংঃ সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত গতিতে পন্যের বিজ্ঞাপন গ্রাহকদের কাছে পৌছানোর কার্যকর পদ্ধতি হলো ই-মেইল মার্কেটিং ৷ আপনি যে পন্য নিয়েই কাজ করুননা কেন ই-মেইলের মাধ্যমে এক ক্লিকেই আপনি আপনার সার্ভিসটি হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে পারবেন ৷ তার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ই-মেইল এড্রেসগুলো কালেক্ট করা ৷ যাতে এক ক্লিকেই হাজার হাজার মানুষের কাছে আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন পৌছে দিতে পারেন ৷ ৭. সিপিএ মার্কেটিংঃ অনেকেই সিপিএ মার্কেটিংকে এফিলিয়েট মার্কেটিংও বলে থাকেন ৷ প্রকৃতঅর্থে, সিপিএ মার্কেটিং আর এফিলিয়েট মার্কেটিং এক নয় ৷ সিপিএ মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে সম্পূর্ন আলাদা ৷ সিপিএ মার্কেটিংয়ের কাজ হচ্ছে ই-মেইল সাবমিট করা ৷ এছাড়াও আরো অন্যান্য কাজও রয়েছে ৷ মনে করুন, আপনার কোন একটি সাইটের জন্য নতুন কিছু মেম্বার নিতে চাচ্ছেন ৷ সেক্ষেত্রে আপনি সিপিএ মার্কেটপ্লেসের একাউন্টে যে এফিলিয়েট লিংটা রয়েছে সেখানে যত বেশি সম্ভব কাস্টমার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ৷ ৮. ই- কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আরেকটি ধাপ হচ্ছে ই- কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং ৷ যারা ই-কমার্সে বিভিন্ন পন্য বা পন্য সেবা নিয়ে কাজ করেন তাদের সেই পন্যগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়াই হলো ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং ৷ এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পন্য নিয়েও মার্কেটিং করতে পারেন ৷ বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ৷ এতে আপনার পন্যের পরিচিতি হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছে পৌছে যাবে ৷ আপনার বিক্রি বেড়ে যাবে ৷