টেলিকনফারেন্সিং কি ? এর বিস্তারিত আলোচনা ! তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি by Jannatun Naime - October 14, 20220 Spread the love টেলিকনফারেন্সিং কি ? এর বিস্তারিত আলোচনা ! টেলিকনফারেন্সিং সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন । আবার কেউ কেউ আছেন এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নতুন । তাই সবার কথা বিবেচনা করেই আজকের টপিকে আমরা টেলিকনফারেন্স কি এবং এর বিস্তারিত আলোচনা করবো। বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তি নির্ভর যুগ । প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদেরকে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে হয় । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কর্ম জীবনে এসেছে স্বচ্ছলতা। এখন চাইলেই ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যোগাযোগ করা যায় এবং বিভিন্ন কনফারেন্স মিটিংও করা যায়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে সভা, সেমিনার, মিটিং এবং বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক টেলিকনফারেন্সিং সম্পর্কে। টেলিকনফারেন্সিং কি ? টেলিকনফারেন্স হলো টেলিফোনভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম বা প্রক্রিয়া। টেলিফোন সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার, অডিও-মডেম ও ভিডিও যন্ত্রের সাহায্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে কোনো সভা, সেমিনার ও মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার পদ্ধতিই হচ্ছে টেলিকনফারেন্সিং। এই পদ্ধতিতে একই স্থানে না থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে কিংবা দূর-দূরান্তে থেকে অংশগ্রহণ করা যায় এবং বিভিন্ন কার্যবিবরনী, মতামত ও রিপোর্ট পেশ করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তও নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে টেলিকনফারেন্স হতে পারে দলভিত্তিক। এখানে মিলিত হতে পারে কয়েকজনের একটি ছোট দল কিংবা অনেক লোকের বড় দল। এর ফলে সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হয়। এবার প্রশ্ন হলো কিভাবে টেলিকনফারেন্সিং করা যায় ? একদম ই সহজ ব্যাপার। টেলিফোন সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার, অডিও তথা মাইক ও স্পীকার, মডেম, ইন্টারনেট সংযোগ ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের সাহায্যে দেশ – বিদেশের যে কোন স্থান থেকে তাৎক্ষনিকভাবে টেলিকনফারেন্সিং এ অংশগ্রহণ করা যায়। ছাত্র থেকে শিক্ষক, গবেষক, ব্যবসায়িক, কর্মচারীসহ প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ বিশ্বের যে কোন স্থান থেকেই টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে থাকেন। যা তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বহুল প্রচলিত নিরাপদ একটি পদ্ধতি। টেলিকনফারেন্স দু’টি নামে পরিচিত। এক, কমপিউটারাইজড। দুই, সিসি। ১৯৭৫ সালে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন মরি টারফ। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসকদের মধ্যে টেলিকনফারেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে তা আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই টেলিকনফারেন্স তিনটি ধারায় নিয়ন্ত্রিত। এক, পাবলিক কনফারেন্স। এই কনফরেন্স সবার জন্যই উন্মুক্ত। দুই, ক্লোজড কনফারেন্স। এটি নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে একদল লোক ব্যবহার করতে পারে। তিন, রিড-অনলি কনফারেন্স। এটি কেবল অংশগ্রহণকারীরা বার্তায় মন্তব্য জুড়ে দিতে পারেন। টেলিকনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা যায়। বাসায় বসেও দূর-দূরান্তে মিটিং করা যায়। পাবলিক কনফারেন্সগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে টেলিকনফারেন্স বেশি ব্যবহৃত হয়। কোন স্থানে সরাসরি গিয়ে মিটিং বা সভা করার ঝামেলা থাকেনা। টেলিকনফারেন্সিংয়ের জন্য কি কি প্রয়োজন কম্পিউটার টেলিফোন সংযোগ অডিও কার্ড মাইক্রোফোন স্পীকার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার ইত্যাদি। টেলিকনফারেন্সিং কি কি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিভিন্ন মিটিংয়ে প্রশাসনিক কাজে অফিসিয়াল কাজে বিভিন্ন সভায় সেমিনারে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সুতরাং টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে যে কোন সভায় বা সেমিনারে স্বশরীরে উপস্থিত না থেকেও বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে উক্ত সভা বা সেমিনারে অংশগ্রহণ করা যায়।