আভিজাত্যে জামদানি নিয়ে Style Icon Fashion এর যাত্রা ! আভিজাত্যে জামদানি by Jannatun Naime - March 30, 2022March 30, 20220 Spread the love আভিজাত্যে জামদানি নিয়ে Style Icon Fashion এর যাত্রা ! আভিজাত্যে জামদানি নিয়ে Style Icon Fashion এর যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ ৷ যদিও এর প্রাথমিক সূচনা হয় ২০১৮ সালের জুন মাসের ৮ তারিখ ৷ সেই সময় মাত্র ৫ হাজার টাকার মূলধন নিয়ে শুরু হয় Style Icon Fashion এর যাত্রা ৷ কিন্তু পেইজের লোগো, কাভার ফটো ও পেইজ সেটাপের কাজগুলো না করায় এক সপ্তাহের মাথায় আমাদের বিজনেস বন্ধ হয়ে যায় ৷ তারপর আমি গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি ৷ টানা এক বছর ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের পেইজটিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তারপর ২০১৯ সালের জুন মাসের ৮ তারিখে ৫ হাজার টাকার মূলধন নিয়ে পুনঃরায় অনলাইন বিজনেস শুরু করি ৷ ▶ আরও পড়ুনঃ ইতিহাস, ঐতিহ্যে ও আভিজাত্যে জামদানি শাড়ি ! আমাদের সেই বিজনেসের পন্য ছিল জামদানি তাঁত, মনিপুরী তাঁত, টাঙ্গাইলের তাঁত, সিরাজগঞ্জের তাঁত, বাটিক, খেশ, কুমিল্লার খাদি ইত্যাদি ৷ তারপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে সিদ্ধান্ত নেই শুধুমাত্র একটি পন্য নিয়ে কাজ করবো ৷ আর তা হলো আভিজাত্যে জামদানি ৷ যদিও এই পরিকল্পনাটি ছিল আমার ২০১৮ সালে ৷ কিন্তু শুরুর দিকে আমি চাইনি উদ্যোক্তা হতে ৷ কারন, আমার বিজনেস সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিলনা ৷ তাই আগে শেখার প্রয়োজনবোধ মনে করেছিলাম ৷ ▶ আরও পড়ুনঃ জামদানি শাড়িঃ আসল জামদানি শাড়ি চিনবেন কিভাবে ? উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ৷ কিন্তু আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা ছিলনা ৷ তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম আগে ৩ বছর বিজনেস করবো, নিজেকে গড়ে তুলবো ৷ তারপর জামদানি নিয়ে উদ্যোগ শুরু করবো ৷ সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজের বিভিন্ন স্কিল বা দক্ষতা তৈরি করার চেষ্টা করি, বিজনেস শেখার চেষ্টা করি, পন্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি ৷ যদিও তেমন কিছু এখনো সেভাবে শিখে উঠতে পারিনি ৷ তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত ৷ ছবিঃ জামদানি শাড়ি ! জামদানি নিয়ে কাজ করার কারনঃ জামদানি হলো আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের এক অনন্য নিদর্শন ৷ জামদানি পছন্দ করেননা এমন নারী খুঁজে পাওয়া কঠিন ৷ প্রায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ই জামদানি পছন্দ করে থাকেন ৷ জামদানি তাঁত হলো সকল তাঁতের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন তাঁত ৷ যার ফলে জামদানি কে বলা হয় মসলিনের উত্তরসূরি ৷ তাইতো জামদানি হলো ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের প্রতীক ৷ ছোট বেলা থেকেই আম্মুকে দেখতাম খুব জামদানি পরতেন ৷ সেই শাড়িগুলো আমিও পরতাম ৷ তাই ছোট বেলা থেকেই রয়েছে জামদানির প্রতি আমার প্রচন্ড ভালোলাগা ও ভালোবাসা ৷ সেই থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল জামদানি নিয়ে কাজ করার এবং জামদানি ও জামদানি মটিফ ব্যতিক্রমী কিছু তৈরি করার ৷ ▶ আরও পড়ুনঃ কটন জামদানি থ্রি-পিস কি পিউর কটনের তৈরি ? আভিজাত্যে জামদানিঃ আমাদের জামদানির পেইজের নাম হলো Style Icon Fashion ৷ অন্যদিকে জামদানির গ্রুপের নাম রেখেছি আভিজাত্যে জামদানি ৷ যাতে আমাদের এই গ্রুপে অন্যরাও জামদানি নিয়ে গঠনমূলক পোস্ট করতে পারে ৷ জামদানি সম্পর্কে জানাতে পারে ৷ এতে জামদানি নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসবে ৷ সবাই জামদানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে ৷ তাতে জামদানির প্রচার অনেক বেশি বেড়ে যাবে ৷ শুধু প্রচার ই নয়, এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তাও বেড়ে যাবে ৷ এতে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য জামদানি শিল্প পৌছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায় ৷ দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে পৌছে যাবে বিদেশের বিভিন্ন দেশে ৷ আর এটাই ছিল আমার জামদানির গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য ৷ ছবিঃ জামদানি শাড়ি ! Style Icon Fashion এ যা যা থাকছেঃ যেহেতু আমরা জামদানি নিয়ে কাজ করছি তাই আমাদের Style Icon Fashion – এ থাকছে জামদানি শাড়ি, জামদানি ওয়ান পিস, জামদানি টু’পিস, জামদানি থ্রি’পিস, পাঞ্জাবী, কটি, শেরওয়ানি, ল্যাহেঙ্গা, গাউন, ওড়না, হিজাব ওড়না, ব্রাইডাল কালেকশন ইত্যাদি ৷ এছাড়াও আমরা জামদানিকে আরেকটু ভিন্নভাবে, ভিন্ন মটিফে তুলে ধরার কথা ভাবছি ৷ জামদানিতে নিত্য-নতুন ফিউশন আনতে চাচ্ছি ৷ তা হতে পারে জামদানির উপর ব্লক, হ্যান্ডস্টিচ ও হ্যান্ডপেইন্ট ! জামদানি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ জামদানি হলো আমাদের দেশীয় গর্ব, দেশীয় ঐতিহ্য, দেশীয় আভিজাত্য ৷ জামদানির সাথে মিশে আছে দেশের প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের কথা ৷ তাই এই জামদানি কে নিয়ে রয়েছে আমার নানা পরিকল্পনা ৷ আমি চাই আমার Style Icon Fashion এর জামদানি দেশের ৬৪ জেলা অতিক্রম করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌছে যাক ৷ সবাই এই জামদানি সম্পর্কে অনেক বেশি জানুক, জামদানির প্রচার বাড়ুক, ব্যবহারও বাড়ুক ৷ আমাদের দেশীয় জামদানি শিল্পের প্রচার ও প্রসার হোক ৷ আমি জান্নাতুন নাঈম প্রতিষ্ঠাতাঃ Style Icon Fashion