তথ্য প্রযুক্তির অবদান ও উপাদানসমূহ আলোচনা কর ! তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি by Jannatun Naime - August 24, 2021January 28, 20220 Spread the love তথ্য প্রযুক্তির অবদান ও উপাদানসমূহ আলোচনা কর ! তথ্য প্রযুক্তির অবদান বর্তমান সময়ে কোন অংশে কম নয় । বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ ৷ তাই আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব এখন সর্বত্র ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান,বাসস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবাসহ প্রভৃতি স্থানে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার ৷ তাই তো সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়ে গিয়েছে । আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির নানা অবদান বিদ্যমান ৷ এমন কোন স্থান নেই যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান নেই ৷ একটা সময় ছিল মানুষ শুধু রেডিওর মাধ্যমেই বিভিন্ন তথ্য জানতে পারতো ৷ বর্তমান সময়ে তা আপডেট হয়ে টিলিভিশন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগের মাধ্যমেও তথ্য আদান-প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছে ৷ তাই তথ্য প্রযুক্তির অবদান কখনোই ভূলবার নয় ৷ আমরা যদি আমাদের চারপাশে আরেকটু লক্ষ্য করে দেখি তা হলেও তথ্য প্রযুক্তির অবদান কতটুকু রয়েছে তা খুব সহজেই বুঝতে পারবো ৷ বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্ভুল কার্য সম্পাদন , দ্রুতগতি , স্বয়ংক্রিয় কর্মসম্পাদন , স্মৃতি , নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য আদান – প্রদান , যোগাযোগ ইত্যাদির জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ৷ নিম্নে তথ্য প্রযুক্তির অবদান ও উপাদানগুলো তুলে ধরা হলো – তথ্য প্রযুক্তির অবদানসমূহঃ তথ্য প্রযুক্তির অবদান কখনোই অস্বীকার করা সম্ভব নয় ৷ আমরা বর্তমানে যেই যুগে বসবাস করছি তা হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ ৷ অর্থাৎ আধুনিক ও প্রযুক্তির যুগ ৷ যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অতি দ্রুত তথ্য আহরণ করতে পারি এবং প্রয়োজনমত তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি ৷ পাশাপাশি তথ্যকে আধুনিকীকরণ করতে পারি ৷ এ ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তির অনেক অবদান রয়েছে ৷ বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক বিজনেস ও অনলাইনভিত্তিক শিক্ষারও ব্যাপক প্রচার ও প্রসার হয়েছে ৷ পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইনভিত্তিক প্রশিক্ষণেরও সুব্যবস্থা রয়েছে ৷ নিম্মে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো- সময় সাশ্রয়ী হয় ৷ সময়ের অপচয় রোধ করে ৷ সর্ব ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় ৷ তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হয় ৷ প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের গতিকে ত্বরান্বিত করে ৷ ব্যবসায় – বাণিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে৷ মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটায় ৷ ই – কমার্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা যায় ৷ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ফলে মনুষ্যশক্তির অপচয় কমায় ৷ তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ৷ যেমন – ইন্টানেট , ই – মেইল , ফোন , ফ্যাক্স , SMS , MMS প্রভৃতি এর উদাহরণ ৷ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দনীয় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসে পত্রের অর্ডার দেওয়া যায় ৷ শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন নামী – দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে ৷ সিটিজেন চার্টারের মতো নাগরিক সুবিধাগুলো ঘরে বসেই পাওয়া যায় ৷ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই – গভর্নেন্স চালু করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মধ্যে কাজের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হয় ৷ ICT ব্যবহার করে ঘরে বসেই বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল যেমন – বিদ্যুৎ বিল , পানির বিল , গ্যাস বিল , ফোন বিল ইত্যাদি দেওয়া যায় ৷ উপাদানসমূহঃ তথ্য প্রযুক্তির অনেকগুলো উপাদান রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো কম্পিউটার ৷ কম্পিউটারের মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত আদান-প্রদান করে থাকি ৷ কম্পিউটার ছাড়াও আরো কিছু উপাদান রয়েছে ৷ যেমন রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি ৷ এ ছাড়াও আরো অনেক উপাদান রয়েছে ৷ নিম্মে বাকি উপাদানগুলোও উল্লেখ করা হলো- তথ্য প্রযুক্তিতে বর্তমানে যেসকল মৌলিক উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে এবং যেগুলোর চাহিদা রয়েছে তা নিম্মে তুলে ধরা হলো – কম্পিউটিং-(Computing) কম্পিউটার ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি-(Computer and other devices) রেডিও-(Radio) টেলিভিশন-(Television) ফ্যাক্স-(Fax) অডিও-(Audio) ভিডিও-(Video) স্যাটেলাইট-(Satellite) ইন্টারনেট-(Internet) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক-(Computer Network) মডেম ইত্যাদি-(Modem) আধুনিক টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি-(Modern Telecommunication etc)