কনটেন্ট রাইটিং ( What is Content Writing ) কি ? কন্টেন্ট রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং by Jannatun Naime - January 17, 20220 Spread the love কনটেন্ট রাইটিং ( Content Writing ) কন্টেন্ট সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমাদের একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে ৷ এই পর্বে আমরা জানবো কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে ৷ কনটেন্ট রাইটিং মূলত কি ! কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কি কি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে সেই সম্পর্কে জানবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ৷ What is Content Writing ? Content writing শব্দটি হলো ইংরেজি শব্দ ৷ যার অর্থ হলো লিখিত বিষয়বস্তু ৷ অর্থাৎ কোন একটি বিষয়ের উপর লিখিত তথ্য উল্লেখ করা ৷ সুতরাং কনটেন্ট রাইটিং হলো কোন একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করে সেই সকল তথ্যগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে ভিন্নভাবে রুপান্তর করে লেখার মাধ্যমে উল্লেখ করাই হলো কনটেন্ট রাইটিং বা লিখিত বিষয়বস্তু ৷ আর যেই সকল বিষয়বস্তুকে লেখার মাধ্যমে রুপান্তর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রবন্ধ বা রচনা আকারে উল্লেখ করা হয় সেগুলোকে বলা হয় তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল ৷ উদাহরনস্বরুপ, মনে করুন আপনার একটি ওয়ার্ডপ্রেস বা গুগল ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে ৷ আপনি সেই ওয়েবসাইটে কিছু তথ্যমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করতে চাচ্ছেন ৷ সেটি হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা অন্য কিছু ৷ আপনি সেখান থেকে যেই কোন একটি টপিক বা বিষয় পছন্দ করে সেই টপিকের উপর বিস্তারিত তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিজের ভাষায় উল্লেখ করাকে বলা হয় Content Writing বা লিখিত বিষয়বস্তু ৷ শুধু ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট ই নয় ৷ বর্তমানে ফেইসবুক পেইজ, গ্রুপ, পার্সোনাল আইডি, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট, লিংকদীনের মাধ্যমেও বিভিন্ন লিখিত বিষয়বস্তু উল্লেখ করা যায় এবং এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর পরিমানে ৷ মানুষ এখন দিন কে দিন অনলাইনমুখী হচ্ছে ৷ অনলাইনে পড়াশুনা করছে ৷ গুগলে, ফেইসবুকে, টুইটারে, ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সার্চ করে পড়াশুনা করছে ৷ যার ফলে অনলাইনভিত্তিক পড়াশুনার হারও বেড়েছে দ্বি’গুন ৷ তাই লিখিত কনটেন্টেরও চাহিদা রয়েছে প্রচুর ৷ কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্যমূলক কনটেন্ট না থাকায় অনলাইন পড়াশুনায়ও বিঘ্ন ঘটছে ৷ তাই পাঠকের পাশাপাশি লেখক ও লিখিত কনটেন্টের পরিধিও বাড়াতে হবে ৷ অর্থাৎ পর্যাপ্ত তথ্যমূলক লিখিত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে ৷ কনটেন্ট রাইটিংয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবেঃ প্রথমে একটি নির্দিষ্ট টপিক নির্বাচন করতে হবে ৷ অর্থাৎ আপনি কোন টপিকের উপর লিখতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে ৷ তারপর আপনার নির্বাচিত টপিক সম্পর্কে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে, বিস্তারিত জানতে হবে ৷ সেক্ষেত্রে আপনি ফেইসবুক, গুগলের সাহায্য নিতে পারেন ৷ অর্থাৎ ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব সার্চ করে বিস্তারিত জানতে পারেন এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ৷ মনে রাখবেন, আপনি যেই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন সেইগুলো যেন সঠিক তথ্য হয় ৷ কোন ভূল তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রকাশ করা কখনোই ঠিক নয় ৷ অন্যের কোন লেখা বা ছবি কোনভাবেই কপি করা যাবেনা ৷ আপনাকে আপনার নিজের মত করে সংগ্রহ করা তথ্যগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রুপান্তর করে তারপর ওয়েবসাইটে, ব্লগে, পেইজে, গ্রুপে ও ব্যাক্তিগত আইডিতে প্রকাশ করতে হবে ৷ যে কোন টপিকের উপর কোন কনটেন্ট লিখতে হলে অবশ্যই মিনিমাম ৫০০ ( পাঁচ শত ) শব্দের লিখতে হবে ৷ যদি ১০০০ ( এক হাজার ) শব্দে লিখতে পারেন তাহলে সেই কনটেন্টটি গুগলের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে, ভ্যালু পাবে ৷ আর সর্বোচ্চ লিখতে পারেন আপনার খুশিমত ৷ কনটেন্ট লেখার শুরুতে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল যুক্ত করতে পারেন ৷ যেমন – আপনি যেই টপিক নিয়ে লিখছেন সেই টপিকের একটি টাইটেল যুক্ত করতে পারেন ৷ মনে করেন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন ৷ তাই আপনার টাইটেল হতে পারে ” গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যায় ?” ইত্যাদি ৷ কনটেন্টের ফাঁকে ফাঁকে কিছু সাব-টাইটেল যুক্ত করতে পারেন ৷ যেমন- “গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ?” এটি একটি সাব-টাইটেল ৷ তারপর গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে আরেকটি সাব-টাইটেল যুক্ত করতে পারেন ৷ যেমন- “যেভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যায় ৷” এভাবে আরেকটি সাব-টাইটেল যুক্ত করে সেই সাব-টাইটেল অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করতে পারেন ৷ কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই বানানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ৷ কনটেন্টে দাঁড়ি, কমা সঠিকভাবে দিতে হবে ৷ কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই প্যারা করে লিখতে হবে ৷ যাতে অডিয়্যান্সদের কাছে লেখাগুলো পড়তে ও বুঝতে সুবিধে হয় ৷ সর্বোপরি, অবশ্যই কনটেন্ট লিখার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ৷ প্রতিটি কনটেন্ট নিজের ভাষায় লিখতে হবে ৷ যাতে কোনভাবে অন্যের লেখার সাথে না মিলে যায় ৷ অর্থাৎ কপি না হয়ে যায় ৷