You are here
Home > সংবাদ >

শরতের কাশফুলের শুভ্রতায় সেজেছে হাজীগঞ্জ !

শরতের কাশফুলের শুভ্রতায় সেজেছে হাজীগঞ্জ !
Spread the love

শরতের কাশফুলের শুভ্রতায় সেজেছে হাজীগঞ্জ !

প্রকৃতিতে যখন শরতের আগমন ঘটে তখন কাশফুল ই জানান দেয় এর আগমনী বার্তা ৷  আর বর্ষা ঋতুকে জানিয়ে দেয় বিদায়ী বার্তা ৷  তাই তো শরতের আগমনে কাশফুলের শুভ্রতায় সেজে উঠেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৷

ষড়ঋতুর দেশ এই আমার বাংলাদেশ ৷  এখানে ঋতুর পালাবদলে বাংলার প্রকৃতি সেজে উঠে ভিন্ন ভিন্ন সাজে ৷  কখনো গ্রীস্মের দাবদাহ আবার কখনো বর্ষার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ৷  তারপর যে ঋতুর আগমন ঘটে তা হলো শুভ্র-শ্যামল শরৎ ৷  এ যেন প্রকৃতির ই এক অপূর্ব খেলা ৷

শরৎ মানে নিল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা ৷  শরৎ মানে শিউলি ফুলের গন্ধে মন উদাস হওয়া ৷  শরৎ মানে গাছে গাছে হাসনাহেনা আর শাপলা ফুলের সমারোহ ৷ শরৎ মানে গ্রাম-বাংলার গাছে পাকা তাল ৷  আর সেই তাল দিয়ে তৈরি করা পিঠা আর পায়েসের ধুম ৷  তাইতো শরৎকে বলা হয় শুভ্রতা আর স্নিগ্ধতার প্রতীক ৷

কিন্তু ঋতুর পালাবদলে সময়ের সাথে সাথে গ্রামে-গঞ্জে কাশফুলের আধিক্য হারিয়ে গেলেও হাজীগঞ্জে এর আধিক্য অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷  তাইতো চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় নব নির্মিত হাজীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি সেজেছে ফুলের সমারোহে ৷  যত দূর চোখ যায় শুধু কাশফুল আর কাশফুল ৷  প্রকৃতির পূবাল হাওয়ায় যেন দুলতে থাকে সেই ঘন শুভ্র কাশফুল ৷

পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় চারপাশ জুড়েই রয়েছে বিস্তীর্ন কাশবন ৷  যদিও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি ৷  তবে এর চার পাশে গড়ে উঠা কাশবন আর ইনস্টিটিউটের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে প্রকৃতি প্রেমীদের এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ৷  প্রায়সই দেখা যায় এই ক্যাম্পাসে অন্য ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের আনাগোনা ৷

এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ জনও আসেন কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ হতে ৷  সেই সাথে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে চলে আসেন দর্শনার্থীরা ৷  এটি কেবল একটি ইনস্টিটিউট ই না, মুগ্ধতার এক অনন্য নিদর্শন ৷  যেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি মুগ্ধ হওয়া যায় প্রকৃতিতে ৷  সেই সাথে কাশফুলের শুভ্রতায়ও স্নিগ্ধ হওয়ায় এক লহমায় ৷

তারপর ঋতুর পালাবদলে শরৎ শেষে আগমন ঘটে হেমন্তের ৷  তাই গ্রামের বধূরা পরবর্তীতে এই কাশ দিয়ে তৈরি করেন ঝাঁটা, ঝুড়িসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ৷ সেই সাথে কৃষকের ঘরের ছাউনি হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এই কাশফুল ৷ এই সময়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটে আসেন হাজীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গনে ৷ বিশেষ করে আশে পাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিচরনে মুখরিত হয় এই প্রাঙ্গন ৷

প্রতিমুহুর্তেই চোখ বুজলেই মনে হয় শরতের মুগ্ধতায় ভেসে বেড়াচ্ছে সবাই ৷ আর সাদা কাশফুলগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে বাতাসে ৷ আকাশে আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা ৷ শরৎকালের এই রোদ-মেঘের খেলায় কাশবনের ফুলগুলো যেন দোল খেলতে থাকে নদীর ঢেউয়ের মত ৷ তখন মনে হয়  শরৎ ও কাশফুল যেন একই সুতোই গাঁথা ৷ যুগের পর যুগ গ্রামের মেঠো পথ, খাল-বিল, নদ-নদী, ঝোপ-ঝাড়সহ বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় দেখা যেত এই কাশফুল ৷ তাইতো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিটি মানুষ মুগ্ধ হতো কাশফুলের সৌন্দর্য দেখে ৷ যদিও এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে ৷ তবুও শরৎ এলে এর আধিপত্য দেখা যায় এখন সবখানেই ৷

কাশফুল হলো এক ধরনের ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ৷ এদের উচ্চতা হয় তিন মিটার লম্বা ৷ আর এদের রঙ হয় ধবধবে সাদা ৷ কাশফুল মূলতঃ এক ধরনের ছন গোত্রীয় ঘাস ৷ এইগুলো বেশির ভাগ ই জন্মায় নদীর ধারে ৷ যদিও বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে, রাস্তার পাশেও এদের দেখা যায় ৷ তবুও এদের মুল জন্মস্থান হলো নদীর চারিপাশ ৷

Avatar
Jannatun Naime
This is Jannatun Naime. I live in Dhaka, Bangladesh area. My hometown is Chandpur District. I am an Entrepreneur ,Teacher, Blogger and Media Activist. Also a freelancer. These are Graphics Design, Digital Marketing, Video Editing, Content Writing, Content Creator, SEO expert etc with 5 years of experience in the field. I always ‍like to read and write any subject. This website is my personal website. I am a woman who always loves to learn new things and spread it through writing. That’s why I started this blog. The main focus of my writing is to know and write about my country, my district, travel story, freelancing, information and communication technology, science, e-commerce, weaving and crafts, entrepreneurs story, our lifestyle, our cuisine etc. https://jannatunnaime.com
https://jannatunnaime.com/

Leave a Reply

Top

You cannot copy content of this page