শীত মৌসুমের জনপ্রিয় খাবার মুগ পাকন পিঠা !

শীত মৌসুমের জনপ্রিয় খাবার মুগ পাকন পিঠা !
Spread the love

শীত মৌসুমের জনপ্রিয় খাবার মুগ পাকন পিঠা !

শীত এলেই শুরু হয় পিঠা তৈরির ধুম ৷ শুধু গ্রামে নয়, শহরের সব ঘরে ঘরেও সমানতালে তৈরি হয় এই পিঠা ৷ এই সময় পিঠা খাওয়ার মজাই হয় আলাদা ৷ চারিদিকে পিঠা-পুলির মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয় গ্রাম-বাংলাসহ শহুরের প্রতিটি ঘর, পথ ও প্রান্তর ৷ তাইতো শীত মৌসুমের জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে মুগ পাকন পিঠা ৷

শীত মৌসুমের মুগ পাকন পিঠাঃ

বাংলাদেশে তৈরি হয় হরেক রকম পিঠা ৷ সব পিঠার ই রয়েছে নানা রকম বৈচিত্র্য ও আভিজাত্য ৷ একেক পিঠার রয়েছে একেক রকম স্বাদ ৷ তার মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে মুগ পাকন পিঠা ৷ প্রায় ছোট বড় সবার ই পছন্দের পিঠা মুগ পাকন পিঠা ৷ এই পিঠার রং-রুপে রয়েছে নানান বৈচিত্র্যতা ৷ কেউ বলে নকশি পিঠা, কেউ বা বলে সুন্দরী পাকন পিঠা ৷ আবার অঞ্চলভেদে কেউ কেউ বলেন মুগ পাকন পিঠা, কেউ বা বলেন ডালের পাকন পিঠা ৷

উৎসবে মুগ পাকন পিঠাঃ

মুগ পাকন পিঠা আমার পছন্দের আরেকটি প্রিয় খাবার ৷ গ্রামের ভাষায় বলা হয় “ডাইলের নকশি পিঠা ” ৷ শীত মৌসুমে মুগ পাকন পিঠার কদর সবচেয়ে বেশি হয় বিয়ের সময়ে ৷ তাইতো গায়ে হলুদ ও বিয়েতে মুগ পাকন পিঠার প্রচলন চলে আসছে যুগ যুগ ধরে ৷ গ্রাম বাংলার চিরাচরিত নিয়মে বিয়ের পর কনের ফিরতির সময় শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব ৷ আর সেই উৎসবে মুগ পাকন পিঠার জায়গা থাকে সবার উপরে ৷ এই পিঠাগুলো দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন হয় তেমনি খেতেও অসম্ভব মজার ৷ আর ভেতরের অংশটা হয় অনেকটা রসালো ৷ তাইতো ঘরের তৈরি এই পিঠাগুলোর কদর রয়েছে বিশ্ব জুড়ে ৷

মুগ পাকন পিঠার উপকরনঃ-

সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে, বিকেলের নাস্তায়ও চলে এই পিঠা সমানতালে ৷ আর তাই অতিথি আপ্যায়নেও এর কদর চলে এসেছে যুগ যুগ ধরে ৷ এই পিঠাগুলো আমার বানানো পিঠা ৷ এই পিঠাগুলো বানাতে আমার যা যা উপকরন লেগেছে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ-

  • মুগ ডাল ৷
  • মোটা ডাল বা বুটের ডাল ৷
  • চাউলের গুড়া ৷
  • আটা বা ময়দা ৷
  • পানি ও ৷
  • তেল ( পিঠা ভাজার জন্য )

আর সিরার উপকরন হলোঃ-

  • চিনি ৷
  • পানি ৷
  • পরিমানমত লবন ৷
  • লং ৷
  • এলাচি ৷
  • দারচিনি ৷
  • তেজপাতা ৷

প্রস্তুতপ্রণালীঃ

প্রথমে মুগ ডাল ও মোটা ডাল  শুকনো একটি প্যানে বা কড়াইয়ে আলাদা আলাদা টেলে নিতে হবে ৷ তারপর ভালোভাবে ধুইয়ে পরিমানমত পানি দিয়ে ডালটাকে মৃদু আঁচে সিদ্ধ করে নিতে হবে ৷ এরপর ডাল পুরোপুরি সিদ্ধ হলে পরিমানমত লবন মিশিয়ে নিন ! তারপর ডালের মধ্যে একে একে চাউলের গুঁড়ো , আটা বা ময়দা দিয়ে রুটির খামিরের মত খামির করে নিতে হবে ৷ এরপর খামির থেকে অল্প অল্প ছোট ছোট খামিরকে বেলে রুটির মত করে বেলে নিয়ে তারপর বিভিন্ন পিঠার সাজ অনুসারে পিঠাগুলোকে কেটে নিতে হবে ৷ তারপর সেই কাটা পিঠাগুলোর মাঝে  সুই কিংবা নারিকেলের পাতার সলা কিংবা খেঁজুর কাটা অথবা কাঁটা চামচ দিয়ে পিঠায় নকশা করে নিতে হবে ৷

এবার আলাদা একটি পাত্রে পানি, চিনি, লবন, লং, দারচিনি, এলাচি, তেজপাতা এই সবকিছুর মিশ্রণকে একত্রিত করে মৃদু আঁচে শিরকা তৈরি করে নিতে হবে ৷

এরপর সেই নকশা করা পিঠাগুলোকে ভেজে সাথে সাথে গরম গরম শিরকায় ফেলে ছেকে নিন ! তারপর গরম গরম পিঠাগুলোকে পরিবেশন করা হয় ৷ এ ছাড়াও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করেও এই পিঠা খাওয়া যায় ।

Avatar
Jannatun Naime
This is Jannatun Naime. I live in Dhaka, Bangladesh area. My hometown is Chandpur District. I am an Entrepreneur ,Teacher, Blogger and Media Activist. Also a freelancer. These are Graphics Design, Digital Marketing, Video Editing, Content Writing, Content Creator, SEO expert etc with 5 years of experience in the field. I always ‍like to read and write any subject. This website is my personal website. I am a woman who always loves to learn new things and spread it through writing. That’s why I started this blog. The main focus of my writing is to know and write about my country, my district, travel story, freelancing, information and communication technology, science, e-commerce, weaving and crafts, entrepreneurs story, our lifestyle, our cuisine etc. https://jannatunnaime.com
https://jannatunnaime.com/

Leave a Reply

Top

You cannot copy content of this page